গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে ড. ইউনূসের বার্তা

গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে ড. ইউনূসের বার্তা

আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি বার্তা দিয়েছেন।

ড. ইউনূস তার বার্তায় লিখেছেন, "আজ আমরা দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার প্রথম মাস উদযাপন করছি। এই গৌরবময় বিপ্লবের জন্য শত শত ছাত্র এবং সর্বস্তরের মানুষ তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে। তারা ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। এখন আমাদের দায়িত্ব হলো এই দেশকে তার পূর্ণ গৌরবের অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করা।" তিনি আন্দোলনে নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "জুলাই ও আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই এই সরকারের প্রথম কাজ। জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরকে নেতৃত্ব দিয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, এবং তারা ইতোমধ্যে দেশে এসে কাজ শুরু করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক মানের ট্রাইব্যুনাল গঠনের লক্ষ্যে আইন বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে।" তিনি আরও জানান, হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে এবং পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

হতাহতদের তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আন্দোলনে হতাহতদের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। যাদের মরদেহ দূরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। আহতদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। যারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে, তাদের পুনরুদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হবে। এছাড়া, আহতদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি ফাউন্ডেশন তৈরির কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, "আন্দোলনে নিহত সকল শহীদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় আমন্ত্রণ জানানো হবে, এবং আমি শীঘ্রই তাদের সাথে দেখা করব। শহীদদের স্বপ্নকে কখনোই ব্যর্থ হতে দেওয়া হবে না।"

আয়নাঘর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আয়নাঘরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এবং শীঘ্রই বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের কষ্টের কথা জানা যাবে।